হঠাৎ চাকরীতে ইস্তফা চন্দননগর পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর এর : চাঞ্চল‍্য

29th January 2021 6:18 pm হুগলী
হঠাৎ চাকরীতে ইস্তফা চন্দননগর পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর এর : চাঞ্চল‍্য


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : চন্দননগর পুলিশ কমিশনার হুমায়ূন কবির তার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন।সূত্রের খবর আগামী ৩১ জানুয়ারীর পর আর চাকরি করবেন না তিনি।হুমায়ুন কবিরের জায়গায় চন্দননগর পুলিশ কমিশনার করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি গৌরব শর্মাকে।দীর্ঘদিন পুলিশে চাকরি করা হুমায়ূন কবির তার চাকরির শেষ লগ্নে এসে কেন ইস্তফা দিলেন তা নিয়ে জল্পনা তৈরী হয়েছে।তবে হুমায়ূন কবির জানিয়েছেন ব্যাক্তিগত কারনে তার এই সিদ্ধান্ত।২০১৯ সালের ২৯ জুলাই ব্যান্ডেলের তৃনমূল নেতা দিলীপ রাম খুন হন।সেই সময় চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী।তাকে সরিয়ে হুমায়ূন কবিরকে পুলিশ কমিশনার করা হয় আগস্ট মাসে।সেই থেকে চন্দননগর পুলিশ কমিশনার হিসাবে দ্বায়িত্ব সামলেছেন।চলতি বছরে এপ্রিল মাসে তার অবসর নেওয়ার কথা ছিলো।একজন দুঁদে পুলিশ অফিসারের পাশাপাশি একজন ভালো লেখক হুমায়ূন কবির।তার লেখা আলেয়া গল্প নিয়ে সিনেমাও তৈরী হয়।বাম জামানায় ষষ্ঠি দূলের বাড়ি থেকে হাতকাটা দিলীপকে গ্রেফতার থেকে সল্টলেকের কুখ্যাত পিনাকী ভট্টাচার্যের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন হুমায়ূন কবির।চন্দননগর কমিশনার হয়েও হুগলির কুখ্যাত দুষ্কৃতিদের গ্রেফতার করেছেন।কিছু দিন আগে তার স্ত্রী অনিন্দিতা কবির তৃনমূলে যোগ দিয়েছেন।তাই তার ইস্তফায় জল্পনা তৈরী হয়েছে।তবে কি তিনি রাজনীতিতে আসছেন।সে জল্পনায় অবশ্য জল ঢেলে হুমায়ূন কবির বলেন, লেখালেখি করার সময় পাচ্ছিলাম না,আমার লেখা গল্প নিয়ে কয়েকটি সিনেমাও তৈরী করার কথা।এখনই রাজনীতি নিয়ে কিছু ভাবছি না।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।